পটোল এর উপকারিতা
আজ-কাল করনা ভাইরাসের জন্য আমাদের স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হয়ে পড়েছে । এই ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পরে । তাই এই ভাইরাসে আক্রান্ত কোন ব্যক্তির কাছ-কাছি আশা বিপদ জনক । তাই যত সম্ভব বিভিন্ন চিকিৎসালয় এড়িয়ে চলা ভালো। আর এটা তখন সম্ভব যদি আমাদের শরীর সুস্থ থাকে ।
আমরা সবাই জানি আমরা প্রতিদিন যেসব সকসব্জী খায় তার মধ্যে অনেক এমন গুণ আছে যা আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে ও শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। সুস্থ থাকতে খাওয়া দাওয়ায় শাক-সব্জীর ভূমিকা অসীম। সুলভ ও সস্তা শাক সব্জী শরীর কে সুস্থ রাখে সেই সঙ্গে যদি কোনো কারণে শারীরিক অসুবিধা বা অসুস্থতা দেখা দেয় , তাহলে নির্দেশ অনুসারে এগুলোর প্রয়োগেও রোগ সারে । তবে আমার অনেকে জানি না কোন সব্জীর কোন গুণ আছে । তাই আমার বিভিন্ন আয়ুর বেদিক বই থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এখানে দিলাম । ...
পটোল এর উপকারিতা
পটল |
পটল ভাজা হোক কিংবা পটলের দোরমা অথবা দই পটল। এসব খেতে তো দারুণ লাগে। কিন্তু এই পটল খাওয়া শরীরের পক্ষে কতটা ভালো সেই ব্যাপারে কতটা জানেন। আমাদের আজকের এই পোস্ট থেকে জেনে নিন পটল সম্পর্কে বিস্তারিত...
সুস্থ থাকতে পটোল
সাধারণ পটল সহজে হজম হয় এবং অন্য খাবার হজমে সাহায্য করে । পটল হার্টের পক্ষে ভাল লঘুপাক খিদে বাড়ায় শরীর স্নিগ্ধ করে অথচ গরম। কাশি, রক্তবিকার, শ্লেষ্মা বাত ও পিত্ত জ্বর ও কৃমি সারিয়ে তোলে ।
1) পটলে ভালো পরিমাণে ফাইবার থাকে যা খাদ্য হজমে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা সমাধানে এবং লিভারের সাথে সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানেও সাহায্য করে।
2) পটলের বীজ এমন একটি স্বাস্থ্যকর বীজ যা কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে এবং মল নির্গমনে সাহায্য করে।
3) পটলে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। তাই ওজন কমানোর জন্য নিশ্চিন্তে পটলের তরকারি খেতে পারেন। এটি পেট ভরা রাখতে ও খিদে কমাতে সাহায্য করে।
4) পটলের আরেকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা হচ্ছে এটি রক্তকে পরিশোধিত করে। এর ফলে ত্বকের যত্নেও এই সবুজ সবজিটি ভালো কাজ করে।
5) পটলের ছোট গোলাকার বীচিগুলো কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগারের মাত্রা প্রাকৃতিকভাবে কমাতে সাহায্য করে।
6) আয়ুর্বেদ চিকিত্সায় ঠাণ্ডা, জ্বর ও গলা ব্যথা কমতে ঔষধ হিসেবে ব্যবহার হয় পটল।
7) পটলে ভিটামিন এ ও সি থাকে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে বলে ত্বকের জন্য উপকারী। ফ্রি র্যাডিকেলের বিস্তার রোধ করে বয়সের ছাপ প্রতিরোধে সাহায্য করে পটল।
রোগ সারাতে পটল
1) পটলের তরকারি দুই থেকে তিন মাস খেলে হজম করার ক্ষমতা বেড়ে যায়।
2) তেতো পটলের ক্কাথ তৈরি করে মধু মিশিয়ে ৪সপ্তাহ খেলে পিত্তজ্বর সারে ,
তৃষ্ণা নিবারণ হয় আর শরীর জ্বালা কমে।
3) তেতো পটলের শিকর সেদ্ধ করে সেই জল চিনি মিশিয়ে এক মাস খাওয়ালেও পিত্তজ্বরে উপকার হয়।
4) ১০ গ্রাম ওজনের তেতো পালতা ১০ গ্রাম ধনে রাতে এক কাপ জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালবেলা এই জল ছেঁকে নিয়ে মধু মিশিয়ে দিয়ে তিনবার খান-এভাবে এক মাস খেলে সমস্ত কৃমি নাশ হবে।
5) ৬ মাস একটানা পটোল খেলে ত্বকের রোগেও লাভ হয় । তেতো পটোল ও তেতো নিম পাতার ক্কাথ দিয়ে ফোড়া ধুয়ে নিলে তাড়াতাড়ি সেরে যায়।
6) তেতো পটোলের পলতা পাতার রস টাকের পক্ষে উপকারী।
7) কাশি, জ্বর ও রক্তের দোষ সেদ্ধ পটল একমাস খেলে সারে।
8) এর রস মাথায় ৪ থেকে ৮ সপ্তাহ লাগালে টাক পড়া বন্ধ হয় ও মাথায় নতুন চুল গজায় ।
No comments