আলুর বিভিন্ন উপকারিতা
আজ-কাল করনা ভাইরাসের জন্য আমাদের স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হয়ে পড়েছে । এই ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পরে । তাই এই ভাইরাসে আক্রান্ত কোন ব্যক্তির কাছ-কাছি আশা বিপদ জনক । তাই যত সম্ভব বিভিন্ন চিকিৎসালয় এড়িয়ে চলা ভালো। আর এটা তখন সম্ভব যদি আমাদের শরীর সুস্থ থাকে ।
আমরা সবাই জানি আমরা প্রতিদিন যেসব সকসব্জী খায় তার মধ্যে অনেক এমন গুণ আছে যা আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে ও শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। সুস্থ থাকতে খাওয়া দাওয়ায় শাক-সব্জীর ভূমিকা অসীম। সুলভ ও সস্তা শাক সব্জী শরীর কে সুস্থ রাখে সেই সঙ্গে যদি কোনো কারণে শারীরিক অসুবিধা বা অসুস্থতা দেখা দেয় , তাহলে নির্দেশ অনুসারে এগুলোর প্রয়োগেও রোগ সারে । তবে আমার অনেকে জানি না কোন সব্জীর কোন গুণ আছে । তাই আমার বিভিন্ন আয়ুর বেদিক বই, নিউজ প্রতিবেদন থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এখানে দিলাম । ...
একটু জেনে নিন আলুর বিভিন্ন উপকারিতা
আলুর পুষ্টি গুণ :
আলু সিদ্ধ করার পর খোসা ছাড়ানো উচিত। প্রতি ১০০ গ্রাম আলুতে আছে ক্যালোরি ৭৮ গ্রাম, প্রোটিন ২ গ্রাম, ফ্যাট ০.১ গ্রাম। শর্করা ১৯ গ্রাম। ক্যালসিয়াম ১১ মিলিগ্রাম। ফসফরাস ৫৬ মিলিগ্রাম। লোহা ০.৭ মিলিগ্রাম। ভিটামিন এ ৪০ ইউনিট ভিটামিন বি-ওয়ান ০.১১ মিলিগ্রাম, বিটু ০.০৩ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন ১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ১৭ মিলিগ্রাম।
সুস্থ থাকতে আলু ভূমিকা :
আলুতে উপস্থিত ফাইবার শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমে চোখে পরার মতো। ফলে হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে থাকে না বললেই চলে। ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায় নিয়মিত আলু সিদ্ধ খাওয়া শুরু করলে বাস্তবিকই মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ে চোখে পরার মতো। আসলে আলুতে উপস্থিত নানাবিধ উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর ব্রেন পাওয়ারকে নিমেষে বাড়িয়ে তুলতে যেমন বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, তেমনি মস্তিষ্কের ক্লান্তি দূর করতেও সাহায্য করে।তাই বুড়ো বয়স পর্যন্ত ব্রেন একেবাপরে ঘোড়ার মতো ছুটুক, এমমনটা যদি চান, তাহলে রোজের ডায়েটে সিদ্ধ আলুকে অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না যেন! ফাইবারের চাহিদা মিটবে মাঝারি মাপের একটা আলুতে প্রায় ২ গ্রামের কাছকাছি ফাইবার থাকে, যা সারা দিনের মোট ফাইবারের চাহিদার প্রায় ৮ শতাংশ পূরণ করতে সক্ষম। প্রসঙ্গত, ডায়াটারি ফাইবার একাধিক রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো শরীরে যাতে কোনও সময় ফাইবারের ঘাটতি দেখা না দেয়, সে দিকে খেয়াল রাখাটা একান্ত প্রয়োজন।আর এ ক্ষেত্রে আলুর কোনও বিকল্প আছে বলে তো মনে হয় না। ভিটামিন সি-এর যোগান ঠিক থাকবে শরীরকে সুস্থ রাখতে এই বিশেষ ভিটামিনটির কোনও বিকল্প আছে বলে তো মনে হয় না। আর নিয়মিত আলু খেলে শরীরে এই বিশেষ উপাদানটির ঘাটতি দূর হতে সময় লাগে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই একাধিক রোগ দূরে থাকতে বাধ্য হয়। সেই সঙ্গে কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমতে শুরু করে।
গোল আলুর উপকারিতা অনেকটা মিষ্টির আলুর মতোই। তবে কিছুটা কম।
রোগ সারাতে আলুর ব্যাবহার:
১) কোষ্ঠবদ্ধতায় ১০০ গ্রাম আলু ভাতে দিয়ে বা জলে সিদ্ধ করে ছাল ছাড়িয়ে নুন মিশিয়ে দিনে ২ বার ভাত রুটির সঙ্গে খেতে হবে। এভাবে ৭ দিন করুন। ২) যদি অল্প অল্প কাশি হয় এবং পাতলা সর্দি থাকে তাহলে ২০-২৫ গ্রাম। কাচা নরম আলু ধুয়ে কুচি কুচি করে কেটে ২ কাপ জলে সিদ্ধ করে আধ কাপ থাকতে নামিয়ে ছেকে অল্প লবন মিশিয়ে গরম গরম চায়ের মত ২ বেলা খেলে ২ দিনে উপকার পাওয়া যাবে।
২) প্রসবের পর থেকে ৫-৬ মাস টানা আলু-গাজরপেঁয়াজের স্টু করে দুবেলা খেলে স্তন হ্রাস উপকার পাওয়া যায়।
4) অরুচি ও অগ্নিমান্দ্য আলু গাছের কচি পাতা ও নরম ডগা ভেজে ভাত বা রুটির সঙ্গে দুপুরে ১ বার করে ১ সপ্তাহ খেলে উপকার হয়।
৫) ত্বকের কোথাও পুড়ে গেলে কাঁচা আলু থেঁতলে পুড়ে যাওয়া জায়গায় লাগালে আরাম পাওয়া যায়।
৬ ) রাতকানা রোগের ক্ষেত্রেও এর উপকারিতা লক্ষ করা যায়। সে ক্ষেত্রে রোগীকে প্রাণীর, বিশেষ করে খাসির কলিজার সাথে মিষ্টি আলু খাওয়াতে হয়।
৭ ) গ্রামে, এমন কি শহরেও আগুনে পুড়িয়ে কিছুটা পোড়া পোড়া করে মিষ্টি আলু খাওয়ার প্রচলন আছে। এই পদ্ধতি সাধারণ সর্দি-কাশির উপশমে কার্যকর।
ক্ষতিকারক দিক:
আলু বেশি খাওয়া ভাল নয়। বিশেষ করে যারা অম্বল কিংবা ডায়াবেটিস রােগে ভুগছেন।
No comments