সুস্থ থাকতে কাঁচকলা

আজ-কাল করনা ভাইরাসের জন্য আমাদের স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হয়ে  পড়েছে । এই ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পরে । তাই এই ভাইরাসে আক্রান্ত কোন ব্যক্তির কাছ-কাছি আশা  বিপদ জনক । তাই যত সম্ভব বিভিন্ন চিকিৎসালয় এড়িয়ে চলা ভালো। আর এটা তখন সম্ভব যদি আমাদের শরীর সুস্থ  থাকে । 
       আমরা সবাই জানি আমরা প্রতিদিন যেসব সকসব্জী খায় তার মধ্যে অনেক এমন গুণ আছে  যা আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে ও শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। সুস্থ থাকতে খাওয়া দাওয়ায় শাক-সব্জীর ভূমিকা অসীম।  সুলভ ও সস্তা শাক সব্জী শরীর কে সুস্থ রাখে সেই সঙ্গে যদি কোনো কারণে শারীরিক অসুবিধা বা অসুস্থতা দেখা দেয় , তাহলে নির্দেশ অনুসারে এগুলোর প্রয়োগেও  রোগ সারে । তবে আমার অনেকে জানি না কোন সব্জীর কোন গুণ আছে । তাই আমার বিভিন্ন আয়ুর বেদিক বই, নিউজ প্রতিবেদন থেকে তথ্য সংগ্রহ করে  এখানে দিলাম । ... 

সুস্থ থাকতে কাঁচকলা ও কলাগাছ :


কাঁচা কলা হচ্ছে পুষ্টির পাওয়ারহাউস। সারাবিশ্বে অনেক কম ফল আছে, যাদের কলার মতো চাহিদা আছে। কলা এমন একধরনের ফল যা বিশ্বজুড়ে প্রতি ফলের দোকানে পাওয়া যায়। শুধু মাত্র পেট খারাপের প্রকোপ কমাতে নয়, কিছু জটিল রোগের ক্ষেত্রেও কাঁচা কলার কোনও বিকল্প নেই। কারণ এতে থাকে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি ৬ ও ভিটামিন সি সহ নানা উপকারী উপাদান।

👉জেনে নিন সুস্থ থাকার জন্য কাঁচকলা জরুরি কেন...

➤ কাঁচা কলা ফাইবারের একটি চমত্‍কার উত্‍স। প্রায় ১০০ গ্রাম কলা রয়েছে ২.৬ গ্রাম ফাইবার । পাচক স্বাস্থ্য এবং আমাদের হৃদরোগের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য ফাইবারগুলি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি ডাইজেস্টিভ ট্র্যাকের কর্মক্ষমতা বাড়িতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শুধু পেট খারাপ নয়, যারা প্রায়শই গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তারা ও কাঁচা কলা খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।

➤ কাঁচা কলা হচ্ছে পুষ্টির ভাণ্ডার। ফলে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় থাকলে অনায়াসেই পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। আর এর ফলে শরীরের কর্মক্ষমতা ও বৃদ্ধি পায় ।

➤ কাঁচা কলায় খুব কম পরিমাণের চিনির কন্টেন্ট আছে। কাঁচা কলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৩০। যে সব ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫৫- এর নিচে তাদের মধ্যে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না । ফলে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাঁচা কলা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

➤ কাঁচা কলায় উপস্থিত পটাশিয়াম, শরীরে মধ্যে ব্লাড ভেসেলের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। সেই সঙ্গে শিরা-উপশিরার ভেতরে তৈরি হওয়া প্রেসারকেও কমিয়ে ফেলে। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে র ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা আছে।

➤ সবুজ কলা পুষ্টিকর ফাইবার পূর্ণ। ফাইবার ডাইজেস্ট সবচেয়ে দীর্ঘ সময় লাগে, ফলে বহুক্ষণ ক্ষুধা পায় না। তারফলে খাবার খাওয়ার পরিমাণও কমতে শুরু করে। ফলে শরীরে ক্যালরির প্রবেশ ঘটে কম। আর দীর্ঘ দিন এমনটা হতে থা কার ফলে ওজন কমতে শুরু করে।

😍 সুস্থ থাকতে কাঁচকলা ও কলাগাছের প্রয়োগ :

👉পেটের অসুখে, আমাশয় ও রক্ত আমাশয় কাচকলা সেদ্ধ করে টাটকা টক দইয়ের সঙ্গে মেখে ৭ দিন খেলে রোগ সারে।

👉 কলা গাছের শুকনাে শেকড় গুড়া করে অল্প পরিমাণে ৩-৪ দিনখেলে পিত্ত রোগ সারে। রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া রোগের এটি একটি মহৌষধ।

👉 অনেকের মতে কলা গাছের শেকড়ের রসের সঙ্গে ১ সপ্তাহ ঘি ও চিনি মিশিয়ে খেলে প্রস্রাবের অসুখ বা মেহ রোগ সারে।

👉 কাঁচা কলা শুকিয়ে গুঁড়াে করে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ৭ রাত্রি খেলে যৌন ব্যাধি সারে ও প্রস্রাবের অসুখ সারে।

👉একেবারে কচি কলাপাতা মিহি করে বেটে দুধে মিশিয়ে ঘন ক্ষীরের মতাে করে ৫-৭ দিন খাওয়ালে মেয়েদের প্রদর রোগে উপকার হয়।







No comments

Powered by Blogger.